শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হার্ভার্ড থেকে ইয়েল, ফিলিস্তিনের পক্ষে আমেরিকার যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল ওয়াশিংটনের চিন্তা ভাবনায় পাকিস্তানের কোন অবস্থান নেই মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৭) রাশিয়াকে সমর্থন এবং শিল্পে চীনের অতিরিক্ত ‘সক্ষমতা’ নিয়ে অভিযোগ ব্লিংকেনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করবে স্যামসাং- গুগল স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৪০) জিআই সনদ পেল টাঙ্গাইল শাড়িসহ আরো ১৪ পণ্য,বাণিজ্য কাঠামো নবায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান জাতির পিতার সমাধিতে বিএসএমএমইউ’র নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্যের শ্রদ্ধা নিবেদন তাপদাহের মধ্যে ঢাকা আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়ার দাবি বাউবি’র স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের শেষ হলো চারদিনব্যাপী ন্যাপ এক্সপো ২০২৪

তাপমাত্রা কমলেও ২০ এপ্রিল থেকে বাড়বে ভ্যাপসা গরম

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪.৪৮ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

 

গালফ নিউজের শিরোনাম ‘‘দুবাইয়ে এমিরেটস চেক-ইন স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে’’

 

খবরে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান সংস্থা এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য চেষ্টা করছে। দুবাই থেকে রওনা হওয়া দুবাইয়ের ফ্ল্যাগশিপ এয়ারলাইন এমিরেটসের যাত্রীরা এখন তাদের ফ্লাইটের জন্য চেক ইন করতে পারবেন, একজন বিমান সংস্থার মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন। তবে, ফ্লাইটগুলো আসতে এবং ছাড়তে এখনও দেরি হতে পারে।

২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খারাপ আবহাওয়ার কারণে এমিরেটস তাদের চেক-ইন সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে, বিমানবন্দরে ভিড় থাকায় যাত্রীদের অবশ্যই বিমানবন্দরে যেতে হবে যদি তাদের নিশ্চিত ফ্লাইট বুকিং থাকে।

মুখপাত্র বলেন, “ফ্লাইট বাতিলের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের আবার বুকিং করার জন্য তাদের বুকিং এজেন্ট বা এমিরেটস যোগাযোগ কেন্দ্রে যোগাযোগ করা উচিত।

যাত্রীদের বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে এমিরেটস ওয়েবসাইটে ফ্লাইটের অবস্থা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।

এমিরেটস ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে।

 

 

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের শিরোনাম  ‘‘বাংলার রাম নবমী সংঘর্ষের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী : শুভেন্দু অধিকারী ’’

 

খবরে বলা হয়,পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে রাম নবমীর শোভাযাত্রার সময় সংঘর্ষের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন।

শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) তদন্ত চেয়েছেন।

 

তিনি বলেন,”মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক বক্তৃতার কারণে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় রাম নবমীর মিছিল বিঘ্নিত ও আক্রমণ করা হয়েছিল, যা সফলভাবে দুষ্কৃতীদের উস্কে দিয়েছিল। যাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না। কারণ রাম নবমীর বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জনসাধারণের অবস্থানের কারণে তাদের হাত বাঁধা হয়েছে।’’

 

বাংলায় এক সমাবেশে ব্যানার্জির বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য শুভেন্দু এই মন্তব্য করেছেন।

শুভেন্দু অধিকারী, এক সময় ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তিনি ২০২০সালে বিজেপিতে যোগ দেন।

 

 

পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের একটি শিরোনাম “আগামী দুই সপ্তাহ পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা’’

 

খবরে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহর এবং অন্যান্য জেলায় বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টারের (এনইওসি) সর্বশেষ পূর্বাভাস এবং একাধিক আবহাওয়ার মডেল থেকে জানা গেছে যে পাকিস্তানে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত মাঝারি থেকে তীব্র আবহাওয়া ব্যবস্থার একটি সিরিজ অনুভব করবে। বেলুচিস্তানে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে কোয়েটাসহ অনেক জেলায় বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে।

 

এদিকে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খাইবার পাখওয়া (কেপি) গিলগিট-বালতিস্তান (জিবি), আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর (এজেকে), ইসলামাবাদ, পঞ্জাব, সিন্ধু ও বালোচিস্তানের বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুৎসহ কয়েকটি শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে পাকিস্তান আবহাওয়া দপ্তর।

 

শুক্রবার থেকে, বজ্রপাত এবং অন্যান্য ঝড়-বিপর্যয়ের ঘটনা দেশব্যাপী ৬০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, একটি আবহাওয়া ব্যবস্থা পাকিস্তানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যার ফলে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে। বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব এবং সিন্ধুতে এই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করবে।

 

 

 

যুগান্তরের শিরোনাম “তাপমাত্রা কমলেও ২০ এপ্রিল থেকে  বাড়বে ভ্যাপসা গরম’’

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা, সিলেট, ফেনী ও ভোলাসহ কয়েক জেলায় বুধবার বিকালে বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও ঢাকা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েক জায়গায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। ওই বৃষ্টির প্রভাবে আজ তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে এতে জনমনে স্বস্তি ফিরবে না। কারণ বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকায় বাড়বে ভ্যাপসা গরম। এই অবস্থা ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ২০ এপ্রিল থেকে আবারও তাপমাত্রা বাড়বে। বুধবার সন্ধ্যায় এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার বিকালে বৃষ্টির আগ পর্যন্ত সারা দেশে তীব্র গরম ছিল। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। সেখানে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ফেনীতে ২৪ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭ মিলিমিটার।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, কয়েক জায়গায় বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কম রয়েছে। তবে তা স্থায়ী হবে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকায় মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- বৃহস্পতিবার রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ঢাকা, রংপুর, বরিশাল বিভাগসহ কয়েক এলাকার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। তবে কিছু কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে। এতে আরও বলা হয়-ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

শুক্র ও শনিবার চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। ২০ এপ্রিল থেকে দেশে তাপমাত্রা আবারও বাড়বে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত কয়েকদিন থেকেই রাজশাহীতে যে তীব্র গরম ও কাঠফাটা রোদ বিরাজ করছে তা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া আরও অন্তত ৩-৪ দিন তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

 

সমকালের শিরোনাম “আল-ফালাহ ব্যাংক কিনে নিচ্ছে ব্যাংক এশিয়া’’

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে আলোচনার মধ্যে পাকিস্তানি মালিকানার ব্যাংক আল–ফালাহ অধিগ্রহণ করছে বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়া। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চূড়ান্তের পর বুধবার পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আরকে হোসাইন সমকালকে জানান, মূল্যসংবেদনশীল তথ্য বিবেবচনায় এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করবেন না।

অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, আগামীকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা দেওয়া হবে।

 

 

দেশ রুপান্তরের শিরোনাম  “বীমার সম্পদ জামানত রেখে ঋণ নয়’’

 

খবরে বলা হয়, সম্পদ বা বিনিয়োগ জামানত হিসেবে রেখে কোনো বীমা কোম্পানি তার পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার অথবা তাদের পরিবার বা তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য কারও থেকে ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়তা করতে পারবে না। এ ছাড়া বীমা কোম্পানিতে সুশাসন বাড়াতে পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক বাড়াতে চাইছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

এমন নতুন ধারা সংযোজন করে বীমা আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে আইডিআরএ। এ বিষয়ে তৈরি করা সংশোধনীর খসড়ার ওপর সংশ্লিষ্ট অংশীজন, বিশেষজ্ঞ এবং জনসাধারণের মতামত চেয়েছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে ইমেইলের মাধ্যমে এ মতামত দিতে বলা হয়েছে।

সংশোধনীতে বীমা কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) এবং সচিব নিয়োগের ক্ষেত্রে আইডিআরএর অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এমনকি আইডিআরএর অনুমোদন ছাড়া সিএফও-সচিবকে চাকরিচ্যুত বা বরখাস্তও করা যাবে না।

বর্তমানে বীমা আইন ২০১০-এর ৪৪ (১) ধারায় বলা আছে ‘কোনো বীমাকারী উহার নিজের শেয়ারের জামানতে কোনো প্রকার অগ্রিম, ঋণ বা আর্থিক সুবিধা প্রদান করিবে না।’ এ ধারা কিছুটা সংশোধন করে খসড়াতে বলা হয়েছে ‘কোনো বীমাকারী উহার নিজের শেয়ারের জামানতে কোনো প্রকার অগ্রিম ঋণ ও আর্থিক সুবিধা প্রদান করিবে না। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগও আর্থিক সুবিধার আওতাভুক্ত হইবে।’

এ সংশোধনীর পাশাপাশি এ সংক্রান্ত নতুন দুটি ধারাও যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি ধারায় বলা হয়েছে ‘বীমাকারী তার সম্পদ বা বিনিয়োগ জামানত হিসেবে রাখিয়া পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার বা তাদের পরিবার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য কারও হতে ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়তা প্রদান করতে পারিবে না।’

বীমা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ গঠনসংক্রান্ত ধারাতেও সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান বীমা আইন অনুযায়ী, বীমা কোম্পানির পরিচালক সংখ্যা ২০ জনের বেশি হতে পারবে না। ২০ জন পরিচালক থাকলে তার মধ্যে ১২ জন উদ্যোক্তা পরিচালক, ৬ জন জনগণের অংশের শেয়ারগ্রহীতা পরিচালক এবং ২ জন স্বতন্ত্র পরিচালক থাকার বিধান রয়েছে। এখন এ ধারা সংশোধন করে ২০ জন পরিচালক থাকলে তার মধ্যে ৪ জন স্বতন্ত্র পরিচালক রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে পরিচালকের সংখ্যা ১০ জনের কম হলে স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যা ২ জন হবে এবং ১০ জনের বেশি হলে স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যা হবে ৪ জন।

এসব সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি আইনে আরও কিছু সংশোধনী আনা হচ্ছে। সংশোধনীর খসড়ায় কিছু নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে, আবার কিছু বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কিছু ধারায় নতুন বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে।

 

 

দৈনিক আজকের পত্রিকার শিরোনাম “ফেসবুক লাইভে অস্ত্রাগার দেখিয়ে চাকরি হারালেন পুলিশ সুপার”

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, বহিরাগতদের অস্ত্রাগার দেখানো এবং সেখান থেকে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুলনা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ শাহেদ ফেরদৌস রানাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।

গত ৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

বিসিএস পুলিশের ২৫ তম ব্যাচের কর্মকর্তা শাহেদ ফেরদৌস ২০০৬ সালের ২১ আগস্ট পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। তিনি চাঁদপুরের স্থায়ী বাসিন্দা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার পরিদর্শন করানো, অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দিয়েছিলেন খুলনার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহেদ ফেরদৌস রানা। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেন পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ আনিসুর রহমান, এসআই (নিরস্ত্র) নুর–এ–সরোয়ার রিপন, এসআই (সশস্ত্র) আবু সাঈদ মো. ওবাইদুর রহমান এবং এসআই (সশস্ত্র) মানিক খান।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, পরবর্তীকালে শাহেদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে রুজু করা বিভাগীয় মামলায় উপস্থাপিত ভিডিওটি সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। এরপর সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়। গত ২৪ আগস্ট সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের পাঠানো প্রতিবেদনে উপস্থাপিত ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়নি অর্থাৎ প্রকৃত মর্মে মতামত দেওয়া হয়।

অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড হিসেবে শাহেদ ফেরদৌসকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’–এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হয়। গত ১ জানুয়ারি সরকারি কর্ম কমিশন বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের দণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেয়। এরপর তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024