শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

আগুনের সমস্যার তদারকির দ্বায়িত্ব কার, পাকস্তিানে নতুন স্পীকার, বেঙ্গালূর রেস্টুরেন্ট বোমা ঘটনায় একজন গ্রেফতার

  • Update Time : শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪, ৮.১২ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘Bengaluru restaurant blast: Man wearing cap, mask a suspect; IED like one used in Mangaluru, 2022 ’.
খবরে বলা হচ্ছে, শুক্রবার দুপুর ১২ টা ৫৬ টায় বিস্ফোরণ ঘটে। তার প্রায় এক ঘন্টা আগে রামেশ্বরম ক্যাফেতে সিসিটিভি ক্যামেরায় ক্যাপ, চশমা এবং একটি মুখোশ পরা একজন ব্যক্তি মূল সন্দেহভাজন হিসাবে দেখা যায়। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে যে লোকটিকে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যে তার মুখ আংশিকভাবে লুকিয়ে রেখেছিল।
এতে সাহায্যকারী সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে আটক করা হয়। ফুটেজে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি কর্ণাটকের রাজধানীর হোয়াইটফিল্ড এলাকায় রেস্তোরাঁ প্রাঙ্গনে ব্যাগ নিয়ে হাঁটাহাঁটি করছে। পুলিশের মতে, ওই ব্যক্তি এই ব্যাগটি রেস্তোরাঁয় রেখে বিস্ফোরণ ঘটার আগেই বের হয়ে যায়। সন্দেহভাজন ব্যক্তির সাথে অন্য একজনকে দেখা যায়। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বেঙ্গালুরু পুলিশ । প্রধান সন্দেহভাজন মুখোশ, চশমা এবং ক্যাপ দিয়ে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন। ইডলির (খাবার বিশেষ) প্লেট হাতে দেখা যায় তাকে। রেস্তোরাঁর ক্যামেরায় ধরা পড়ে এসব তথ্য।
খবরে বলা হচ্ছে, শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন। তদন্ত করতে জাতীয় সন্ত্রাস-বিরোধী তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) দল, বোম স্কোয়াড এবং ফরেনসিক ল্যাবরটেরি ঘটনাস্থলে যায়। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিধারমাইয়াহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইডি) ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘সাড়ে ১২টার দিকে বিস্ফোরণের একটি তথ্য আসে এবং বলা হয় সেখানে একটি ব্যাগ ছিল। আমি জানতে পারছি এটি একটি আইইডি ছিল। তদন্ত চলছে।’ এ ঘটনার পর সন্ত্রাস বিরোধী অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ ও বিস্ফোরক পদার্থ আইনে একটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

পাকিস্তানের ডন পত্রিকার আজকের শিরোনাম ছিল ‘NA gets new custodians amid noisy PTI protest’.
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার পিএমএল-এন-এর সরদার আয়াজ সাদিক এবং পিপিপি-র গোলাম মুস্তফা শাহকে নতুন তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে নির্বাচিত করেছে নবগঠিত জাতীয় পরিষদ। কারণ পিটিআই-সমর্থিত আইনপ্রণেতারা আট ঘন্টা সময় ধরে তর্ক, প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছিলেন।
জেইউআই-এফ-এর সদস্যরা এবং বিএনপির সরদার আখতার মেঙ্গল এই নির্বাচন প্রক্রিয়া বর্জন করেন এবং পুরো বৈঠকে অংশ নেননি।
এক পর্যায়ে, পিএমএল-এন-এর রানা তানভীরকে বিক্ষিপ্ত পিটিআই সদস্যদের শারীরিকভাবে আক্রমণ করার জন্য বিরোধী বেঞ্চের দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে ছুটে যেতে দেখা যায়, কিন্তু তার সহকর্মীরা তা করতে বাধা দেয়।
সরদার আয়াজ সাদিক, লাহোরের একজন মৃদুভাষী ব্যবসায়ী। যিনি ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তার স্পিকার হিসেবে সম্মান অর্জন করেছিলেন, তিনি ১৯৯ ভোট পেলেন। তিনি PTI-এর আমির ডোগারকে পরাজিত করেন। যিনি মাত্র ৯১ ভোট পেয়েছিলেন। পিপিপির গোলাম মোস্তফা শাহ ১৯৭ভোট পান, তার প্রতিপক্ষ পিটিআই-এর জুনায়েদ আকবর ৯২ ভোট পান।
মিঃ সাদিক এবং মিঃ শাহ উভয়ই পিএমএল-এন, পিপিপি, এমকিউএম-পি, পিএমএল-কিউ, পিএমএল-জেড, আইপিপি, এনপি এবং বিএপি জোটের যৌথ প্রার্থী ছিলেন।
পিটিআই সদস্যরা, যারা এখন সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসনের দাবিতে যোগ দিয়েছেন, তারা স্লোগান তোলেন এবং এমনকি স্পিকারের মঞ্চের সামনে জড়ো হন, যখন পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ, প্রধানমন্ত্রী- মনোনীত শেহবাজ শরীফ ও তার ছেলে হামজা শেহবাজ তাদের ভোট দিয়েছেন।
আইপিপি-এর আলিম খানও প্রতিবাদী পিটিআই আইন প্রণেতাদের লক্ষ্যবস্তুতে ছিলেন, যিনি দুবার ভোট দিতে এসে ‘লোটা’ (টার্নকোট) স্লোগান তুলেছিলেন।
বক্তারা যতবারই শরীফ পরিবারের সদস্যদের নাম নিচ্ছেন ততবারই ‘ভোট চোর’ ও ‘ম্যান্ডেট চোর’ স্লোগান ছিল। জবাবে, কিছু পিএমএল-এন সদস্য, যাদের বেশিরভাগই মহিলা, ইমরান খান এবং তার বোন আলেমা খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং তাদের “চোর” বলে অভিহিত করেন।

 

বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডের ঘটনা, এখনো রয়েছে গণমাধ্যমে আলোচনার শীর্ষে।
দৈনিক সমকাল শিরোনাম করেছে – সবার ভেজাচোখ বেইলি রোডে। এর সাথে একটা ছবি জুড়ে দিয়েছে তারা। যার ক্যাপশনে লেখা, চুলে ঝুঁটি বাঁধা, পায়ে গোলাপি মোজা আধখোলা। পরনে ভালোবাসার ডিজাইনে জিন্সের প্যান্ট।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে বিভীষিকাময় আগুন কেড়ে নিয়েছে আড়াই বছর বয়সী ফুটফুটে শিশু ফাইরোজের প্রাণ। যেন দেখে মনে হয় একটা ছোট পরী ঘুমোচ্ছে। পরে জানা যায় তার সঙ্গে মা-বাবারও মৃত্যু হয়েছে।

ঝুঁকি জেনেও কেউ ব্যবস্থা নেয় নি – প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম।
তারা লিখেছে, রাজধানীর বেইলি রোডের ভবনটিতে যে আগুনের ঝুঁকি ছিল, তা জানত সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা। তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ভবন কর্তৃপক্ষও গায়ে মাখেনি। মানুষের মৃত্যুর পর বেরিয়ে এসেছে গাফিলতির চিত্র। বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে গত বৃহস্পতিবার রাতের আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা কেউ ‘শঙ্কামুক্ত’ নন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।
আগুনের ঝুঁকি ও অনুমোদন না থাকার পরও ভবনটিতে আটটি রেস্তোরাঁ চলছিল বছরের পর বছর ধরে। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সেখানে খেতে ভিড় করেছিলেন নগরের বাসিন্দারা। কেউ গিয়েছিলেন শিশুসন্তানদের নিয়ে, কেউ গিয়েছিলেন স্বজনদের নিয়ে, কেউ গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। কারও কারও জীবন চলত ওই ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে।
রাত পৌনে ১০টায় ভবনটিতে যখন আগুন লাগে, তখন প্রাণ বাঁচাতে মা সন্তানকে নিয়ে, বোন বোনকে নিয়ে, বন্ধু বন্ধুকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন ভবনের ছাদে, বিভিন্ন তলায়। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর বের করে আনা হয় একের পর এক নিথর দেহ। রাত দুইটার দিকে ৪৩ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। গতকাল সকালে তিনি জানান, মৃতের সংখ্যা ৪৬–এ দাঁড়িয়েছে।

একটি প্রশ্ন দিয়ে প্রধান শিরোনাম করেছে ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
পত্রিকাটি লিখেছে – Who is to enforce fire safety? Fire service, Rajuk or city corp? অর্থাৎ অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কে? ফায়ার সার্ভিস, রাজউক নাকি সিটি কর্পোরেশন? বলা হয় লিপ ডে-র নানান সব বিশেষ অফার সেদিন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তরুণদের নিয়ে আসে ঐ ভবনে। আর আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর জানান যায় যে ভবনটিতে না ছিল কোন অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না জরুরি নির্গমন পথ। আবার সিঁড়িতে ভর্তি করে রাখা ছিল গ্যাস সিলিন্ডার।
সাধারণত অতীতে এরকম ঘটনায় দেখা গিয়েছে কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজন আরেকজনকে দোষারোপ করতে থাকে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে অবহেলার জন্য। কিন্তু আসলে একটা ভবনে সবরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে কি-না এটা দেখভাল করার দায় কার?
আর ঢাকা ট্রিবিউনের শিরোনাম Everything was wrong এতে বলা হয় দোকান-রেস্টুরেন্টের অনুমোদন ছিল না, কোন ফায়ার সেফটি নেই, কোন ইমার্জেন্সি এক্সিটও ছিল না এই ভবনে।

ভবনটিতে ফায়ার এক্সিট না থাকায় ক্ষোভ প্রধানমন্ত্রীর – দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম এটি।
বলা হচ্ছে রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ৪৬ জন লোক মারা গেছেন এর থেকে কষ্টের আর কী হতে পারে! অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছি, সেটা কিন্তু আর মানে না। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘এত বড় একটা ভবন আগুন লাগলো, এই ভবনে কি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না?’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বেইলি রোডে যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে কোনো ফায়ার এক্সিট নেই। এসব ভবন নির্মাণে ইঞ্জিনিয়ার এবং মালিকদের গাফিলতি থাকে। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা খুব প্রয়োজন।

এই ঘটনা ধরে একটি বিশেষ প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। তাদের সেই খবরের শিরোনাম – অগ্নিকুন্ডের উপর ঢাকার মানুষ, বিল্ডিং কোড মানছেন না ভবন মালিকরা।
ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা কেমন হবে আইনে পরিষ্কারভাবে বলা আছে। অথচ ভবন মালিকরা জেনেবুঝেও তা মানছেন না। যত্রতত্র রাখা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে না ফিটনেস। আবাসিক ভবনে কেমিক্যাল রাখা বন্ধ হয়নি। ওদিকে দেখভালের দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থাগুলোও আগের ভূমিকায়। ঘুসের বিনিময়ে সবকিছু জায়েজ করে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগও আছে। আইনের কিছু দুর্বলতাও বিদ্যমান। তবে এসব নিয়ে দায়িত্বশীলদের মাথাব্যথা কম। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কিছুদিন হইচই। তারপর সবকিছু আগের মতো। এসব কারণে নিয়ম না মানার এক প্রতিযোগিতা চলছে সর্বত্র। এর ফলে রাজধানী নগরী ঢাকা এখন রীতিমতো অগ্নিকুণ্ডের ওপর বসে আছে। বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞদের অনেকে শুক্রবার যুগান্তরের কাছে এমন মন্তব্য করেন।
তাদের মতে, আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, হোটেল, রেস্টুরেন্টের কোথায় কি ধরনের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে তা জাতীয় বিল্ডিং কোডে স্পষ্ট করে বলা আছে। কিন্তু ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ ভবনে সেসব মানা হচ্ছে না। গ্যাস সিলিন্ডারগুলো ভবনের নিচে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার কথা। সেখান থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করতে হবে। প্রত্যেক ভবনে আগুনের সতর্ক করার যন্ত্র, আগুন নির্বাপণ যন্ত্র, পানির রিজার্ভার, ফায়ার এক্সিট রাখার কথা বলা আছে। কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভবনগুলো গ্লাস দিয়ে ঢেকে দেওয়াও বড় ধরনের অগ্নিঝুঁকি তৈরি করছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিগত এক যুগের ব্যবধানে ঢাকা শহরে তিনটি বড় অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ২০১০ সালের ৩ জুন রাতে পুরান ঢাকার নিমতলীর ভবনের নিচে অবৈধ রাসায়নিক গুদাম থেকে ঘটে ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনা। এতে মারা যান ১২৪ জন। এরপর সেখান থেকে রাসায়নিক গুদাম ও কারখানা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু নানা প্রক্রিয়ার অজুহাতে স্থান নির্ধারণের পরও অদ্যাবধি স্থানান্তরিত হয়নি একটি গুদাম বা কারাখানা। ২০১৯ সালে পুনরায় পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার রাসায়নিক গুদামের আগুনে প্রাণ হারান ৭১ জন। তখন পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গুদাম সরানোর অনেক আলোচনা হয়, জোরালো দাবি ওঠে। কিন্তু অদ্যাবধিও পুরান ঢাকা থেকে কোনো কেমিক্যাল কারখানা সরেনি। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের আগুনে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বিভাগ। বিভিন্ন ভবন ও মার্কেটের তালিকা করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এরপর থেমে গেছে সবকিছু। ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা না মেনেই সবকিছু হচ্ছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই। সেসব ব্যর্থতায় এবার বেইলি রোডে সিলিন্ডারের আগুনে পুড়েছে অর্ধশত প্রাণ। আবারও সক্রিয় হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো। গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনও জমা হবে। কিন্তু আগের মতো এ কমিটির সুপারিশও ফাইলবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল।

টেকনাফ সীমান্তের ওপারে আবার গোলাগুলি, এপারে নির্ঘুম রাত বাসিন্দাদের – প্রথম আলোর খবর।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে তিন দিন গোলাগুলি বন্ধ থাকলেও গত বৃহস্পতিবার নতুন করে আবার গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত গোলাগুলির তীব্রতা বেড়েছে। গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত কেঁপে ওঠে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও টেকনাফ পৌরসভার বিপরীতে নাফ নদীর ওপারে রাখাইনের কুমিরখালী, নাইচাডং, কোয়াচিদং, শিলখালী, বলিবাজার, কেয়ারিপ্রাং, পেরাংপ্রু গ্রামে একাধিক সীমান্তচৌকি দখল ও পুনরুদ্ধার নিয়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে। ওপারের গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ এপারের (টেকনাফ) বাসিন্দারা শুনতে পাচ্ছেন। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এপারে ভূকম্পনের সৃষ্টি হচ্ছে।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে রাখাইনের মংডু শহরের পাশে বলিবাজার, পেরাংপ্রুসহ কয়েকটি এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে গতকাল বিকেল চারটা পর্যন্ত। মর্টার শেলের বিকট শব্দে টেকনাফের মানুষের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন অনেকে। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিপরীতে নাফ নদীর তোতারদিয়া দুই সপ্তাহ আগে আরাকান আর্মি দখলে নেয়। এখন সেটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে মিয়ানমার সরকারি বাহিনী। হোয়াইক্যং ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ জালাল বলেন, তাঁর এলাকার মানুষও রাতভর গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, রাখাইনের বলিবাজার, নাকপুরা ও কুমিরখালী, পেরাংপ্রুতে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) একাধিক সীমান্তচৌকি আছে। মংডু শহরের আশপাশে কাওয়ারবিল বিজিপি হেডকোয়ার্টারের আওতাধীন ১ ও ৫ নম্বর সেক্টর। এক মাসের চলমান যুদ্ধে আরাকান আর্মি নাইক্ষ্যংছড়ির বিপরীতে রাখাইন রাজ্যে তুমব্রু রাইট ও লেফটে অবস্থিত তিনটি চৌকি দখলে নেয়।

অস্ত্রর লাইসেন্স আনাড়ির হাতে ঘটছে দুর্ঘটনা – কালবেলার অন্যতম শিরোনাম এটি। বলা হয় কোনোরকম প্রশিক্ষণ না থাকলেও অস্ত্র নিয়ে ঘুরছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। সরকারের কাছ থেকে অনুমতি (লাইসেন্স) নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করলেও ন্যূনতম ব্যবহারিক জ্ঞান নেই অনেকেরই। এমনকি এগুলো কীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়—সে সম্পর্কেও অধিকাংশের নেই স্পষ্ট ধারণা। এ অজ্ঞতার কারণেই লাইসেন্সধারীদের বৈধ অস্ত্রে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। জানা গেছে, দেশে ৭০ হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে।

মাসে মাথাপিছু ন্যূনতম খাদ্য গ্রহণ ব্যয়ে বিবিএসের সঙ্গে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ফারাক ৩৪% – বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম এটি।
বলা হয় একজন প্রাপ্তবয়স্কের দিনে খাদ্য গ্রহণ করতে হয় কমপক্ষে ২ হাজার ১২২ ক্যালরি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম ক্যালরির এ খাদ্য গ্রহণে গড় মাথাপিছু ব্যয় মাসে ১ হাজার ৮৫১ টাকা। এটিকেই ফুড পোভার্টি লাইন বা খাদ্য দারিদ্র্যসীমা হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে বিবিএস। আর বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) হিসাবে, গত ডিসেম্বরজুড়ে এ ন্যূনতম ক্যালরিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে দেশের মানুষকে মাথাপিছু ব্যয় করতে হয়েছে ২ হাজার ৭৯৯ টাকা। সে হিসেবে বিবিএসের মাথাপিছু ন্যূনতম খাদ্য গ্রহণের খরচ ডব্লিউএফপির তুলনায় ৩৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ৯৪৮ টাকা কম। দুই সংস্থার তথ্যে এ বড় ব্যবধানের কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিবিএস যেটিকে খাদ্য দারিদ্র্যসীমা হিসেবে দেখাচ্ছে, সে মূল্যে একজন মানুষের পক্ষে খাবারের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।
আজ শেষ হচ্ছে মহান একুশের বইমেলা, বিক্রি বেড়েছে শেষ মূহুর্তে – সংবাদের খবর এটি। হিসাব অনুযায়ী বইমেলার শেষ দিন হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু মেলার সময় বাড়ে আরো দুইদিন – শুক্রবার ও শনিবার পর্যন্ত। তাই যেন ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’ আমেজ। আগের বছরগুলোতে যা হয়, শেষ সময়ে এসে অনেকে বই কিনেন। এবারও তাই হচ্ছে। গতকাল ছিল বইমেলার বর্ধিত সময়ের প্রথম দিন। শেষ সময়ে অনেকেই মেলা ঘুরে দেখছেন যারা এতদিন আসতে পারেননি নানা কাজে জড়িয়ে পড়ায়। আজ শনিবারও মেলায় থাকবে জনস্রোত। আজ বইমেলার ৩১তম দিনে মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট বিপিএল নিয়ে বণিক বার্তার আরেকটি শিরোনাম – তামিমের নেতৃত্বে প্রথমবার বিপিএল চ্যাম্পিয়ন বরিশাল। বলা হয় বাংলাদেশ জাতীয় দলে অনেকটাই ব্রাত্য হয়ে পড়া তামিম ইকবাল অধিনায়ক হিসেবে দলকে যেমন নেতৃত্ব দিলেন, তেমনি ব্যাট হাতেও লড়লেন সামনে থেকে। তার অনবদ্য নেতৃত্ব আর পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো বরিশালের কোনো দল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে দশম বিপিএলে শিরোপা উৎসব করল ফরচুন বরিশাল। গতকাল রাতে দর্শকে ঠাসা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনালে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। বরিশালের প্রথম শিরোপা। তারা লিখেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের জয়রথ থামিয়ে দিয়েছে ফরচুন বরিশাল। টানা চারবার ফাইনালে ওঠা কুমিল্লা দেখছিল পঞ্চম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। তাদের স্বপ্নকে অধরাই রেখে দিল তামিম ইকবালের দল। কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলের দশম আসরের শিরোপা জিতল ফরচুন বরিশাল।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024