টোকিওতে নতুন ‘জরুরী’ অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন মন্ত্রী। এর এক মাস আগে, গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের কারণে রাজধানীর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি বৈঠকে, টোকিওতে এক মাসব্যাপী জরুরী বিধিনিষেধ আরোপ করার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা। এর মধ্যে, বার এবং রেস্টুরেন্টগুলোর খোলা থাকার সময় হ্রাস করার পাশাপাশি, কিয়োটো এবং ওকিনাওয়া অঞ্চলে ২৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলা হয়েছে, যা ১২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
এখন পর্যন্ত, অনেক পশ্চিমা দেশের তুলনায় জাপানে করোনার সংক্রমণ অনেক কম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, দেশটি এপর্যন্ত ৪ লাখ ৯০ হাজার সংক্রমণ শনাক্ত করেছে। করোনা সংক্রান্ত জটিলতায় জাপানে মৃত্যুবরণ করেছেন ৯ হাজার ৩০০ জন। তবে, সংক্রমণের নতুন ঢেউ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত, দেশটি গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আয়োজক হওয়ায় এই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে উত্তর-পূর্বের মিয়াগি অঞ্চলের পাশাপাশি, ওসাকা এবং হায়োগোর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোয় লকডাউন ব্যবস্থা জারি করেছে জাপান। প্রায় ৮.৮ মিলিয়ন মানুষের বাসস্থান, ওসাকা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই প্রদেশটি ৯০৫ টি নতুন সংক্রমণ শনাক্ত করেছে, যা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রদেশের রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ।
নতুন ব্যবস্থাপনার অধীনে, আঞ্চলিক সরকারগুলোকে বার এবং রেস্টুরেন্টের মতো ব্যবসাগুলোর খোলা থাকার সময় কমিয়ে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও, নিয়ম লঙ্ঘনের ফলে ২ লাখ ইয়েন (১,৮২০ ডলার) জরিমানা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
/এফসি/