খেলনা পিস্তলসহ ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পূর্ব চড়াইল রেখা মেম্বরের গলি থেকে ভুয়া পুলিশ রবিন শেখকে (২৫) আটক করেছে র্যাব-১০। ওই যুবকের বিরুদ্ধে একজন নারীকে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তার কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ফোন ও এডিটিং করা ধর্ষণ ও পুলিশের পোশাক পরিহিত ছবিও জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ পরিচয় দিয়ে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা-মালামাল লুট ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে একজন নারীকে বাসায় ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার (৭ এপ্রিল) আটকের পর তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।
র্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এনায়েত কবীর সৌয়েব জানান, আটক হওয়া রবিন শেখ নিজেকে পুলিশ সদস্য হিসাবে মিথ্যা পরিচয় দিতেন। দুই মাস আগে রবিন শেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন একজন নারীর বাসায় গিয়ে নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দেন। এ সময় ওই নারীকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে তার বাসা থেকে নগদ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিস জোরপূর্বক নিয়ে যান তারা।
কিছুদিন পরে আসামি পুনরায় ভিকটিমের বাসায় ঢুকে খেলনা পিস্তল দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেন। এ সময় তিনি ওই ঘটনার ছবি ও ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন। পরে এসব ছবি ও ভিডিও ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমের অসম্মতিতে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করেন।
একপর্যায়ে রবিন শেখের নজর যায় ভিকটিমের মেয়ের দিকে। ছবি ও ভিডিওর ভয় দেখিয়ে ভিকটিমের মেয়েকেও ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। পরে ভুক্তভোগী ওই নারী কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে র্যাব-১০ এর কাছ অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো জানান, ওই ভুয়া পুলিশ সদস্যের মোবাইল থেকে ভিকটিমের সঙ্গে জোরপূর্বক ধর্ষণের ভিডিও ও ছবি ও পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত বেশ কিছু ছবি পাওয়া যায়।
এসব ছবির বিষয়ে আটক হওয়া রবিন জানান, ছবিগুলি বিশেষ অ্যাপসের মাধ্যমে এডিট করা। তিনি নিজেকে ফেসবুকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে এ ধরনের অপকর্ম করে আসছিলেন।
/এনএএইচ/এআর/