হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুহিবুল্লাহ (৫৪) মারা গেছেন। তিনদিন চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত একটার দিকে মারা যান রাঙ্গুনিয়ার কোদালা ইউনিয়নের এই আওয়ামী লীগ নেতা।
এদিকে মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
বুধবার এক শোকবার্তায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মুহিবুল্লার হত্যাকারীরা অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। আমরা অবশ্যই শাস্তি নিশ্চিত করব।
জানা যায়, হেফাজত নেতা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধ হন ৩ এপ্রিল রাতে। এর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে হেফাজত নেতা মামুনুলের সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। ওই মিছিল থেকেই রাঙ্গুনিয়ার কোদালা ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মো. ইউনুছ মনির নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতা আহত হন।
আহতরা হলেন- রাঙ্গুনিয়ার কোদালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুহিবুল্লাহ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিলদার আজম লিটন। তাদের মধ্যে মুহিবুল্লাহর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ওই রাতেই নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এ প্রসঙ্গে রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব মিল্কি বলেন, ৩ এপ্রিল রাতে হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়। এর একটির বাদী পুলিশ ও অন্যটির কোদালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. আবদুল জব্বার। দুটি মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতা ইউনুছ মনিকে। সেই সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী ও হেফাজত সমর্থক ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ জনসহ মোট ২১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মুহিবুল্লাহ’র মৃত্যুতে হামলার মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।
/ওআর/