বন্দর নগরী চট্টগ্রামে সোমবার (৫ এপ্রিল) ভোর ছয়টা থেকেই শুরু হয়েছে সাতদিনের লকডাউন। তবে লকডাউনে নগরীর রাস্তায় গণপরিবহন না চললেও চলছে রিকশা-অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার। নগরীতে মানুষের উপস্থিতিও বেশ লক্ষ্য করা গেছে। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও বিমান চলাচল।
নগরজুড়ে মাঠে আছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এর মধ্যে নগরীর চারটি প্রবেশ পথে বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটরাও দায়িত্ব পালন করছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া প্রাইভেটকারও নগরীতে প্রবেশ ও বের হতে দেয়া হচ্ছে না।
নগরীর চার প্রবেশমুখ অক্সিজেন মোড়, নতুন ব্রিজ, কাপ্তাই রাস্তার মাথা ও সিটি গেটে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। নগরীর মোড়ে মোড়ে চলছে পুলিশের তল্লাশি। এছাড়া নগরীতে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে পুলিশের টহল। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নগরবাসীকে সচেতন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
লকডাউনে চট্টগ্রাম নগরীতে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট ও অভিজাত শপিংমলসহ সব মার্কেট। তবে জরুরি ও নিত্যপণ্যের দোকান খোলা রয়েছে যথারীতি। খোলা রয়েছে গার্মেন্টস কারখানাসহ অন্যান্য কলকারখানা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (এসবি) মনজুর মোরশেদ বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মতে লকডাউন কার্যকরে আমাদের সদস্যরা টহল মাইকিং ও সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এছাড়া মোড়ে মোড়ে তল্লাশি, নগরের প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আমরা মানুষকে বুঝিয়ে লকডাউন কার্যকরের চেষ্টা করছি।’
এদিকে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ থেকে জানানো হয়, গণপরিবহন না চললেও সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশা চলছে। তবে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে জোর দেয়া হচ্ছে।
/ওআর/