মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলে লকডাউন ঘোষণা ও রমজানকে সামনে রেখে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্যের দাম। গত এক সপ্তাহে ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
অনেকেই বাজার করতে এসে অবাক হয়ে যাচ্ছেন। কারণ দ্রব্যের দাম অনেকটা নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং না থাকায় বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।
সরেজমিন দেখা গেছে, খুচরা বাজারে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৬৩৫/৬৪৫ টাকা, চিনি প্রতি কেজি ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৮ টাকা, এলসি পেঁয়াজ ৩০ টাকা, রসুন দেশি ৫৫ টাকা, মরিচ ২২০ টাকা, আদা ৭০ টাকা, চানা ৬৩ টাকা, হলুদ ১৬০ টাকা, চানার ডাল ৪৪ টাকা, মুসরি ডাল ৬৮ টাকা, বেসন ৭০ টাকা, আলু ২০/২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহ আগে ছিল, পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৬১০ টাকা, চিনি প্রতি কেজি ৬১ টাকা, পেঁয়াজ ২২/২৩ টাকা, এলসি পেঁয়াজ ১৮ টাকা, রসুন দেশি ৫০ টাকা, মরিচ ২১০ টাকা, আদা ৪৩ টাকা, চানা ৫৬ টাকা, হলুদ ১১২ টাকা, চানার ডাল ৪০/৪১ টাকা, মুসরি ডাল ৬২/৬৩ টাকা, বেসন ৬০ টাকা, আলু ১৫ টাকা। এদিকে বেড়েছে চাউলের দাম। প্রতি বস্তাতে বেড়ে ১০০/৩০০ টাকা। তবে কমতে সবজির দাম।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে আসা ক্রেতা মোসাহিদ আহমদ বলেন, দুদিন আগেও যেসব পণ্যের দাম হাতের নাগালে ছিল, হঠাৎ করে সেগুলোর দাম বেড়ে গেছে। এমন চলতে থাকলে ক্রেতারা কীভাবে বাজার করবে।
ক্রেতা চঞ্চল দত্ত বলেন, বাজারে যেভাবে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে চলতে আমার মতো মধ্যবিত্ত যারা, তাদের বাজার করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাই বাজার মনিটরিং প্রয়োজনী দ্রব্যের দাম করে নিয়ন্ত্রণে আনা হোক।
ব্যবসায়ী আবাদ মিয়া বলেন, আগের চেয়ে কিছুটা দাম বেড়েছে। তবে কেন বেড়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি।