রিসোর্ট থেকে কেন্দ্রীয় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে আটকের জের ধরে সুনামগঞ্জের ছাতক থানায় হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এতে পাঁচ শ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতরাতেই পুলিশ ৯ জনকে আটক করে।
থানায় হামলার ঘটনায় আহত এস আই আনোয়ার মিয়া বাদী হয়ে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। হামলার পরপরই পৌর শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই ছাতক থানা পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, হেফাজতের ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জে আটক করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে গতকাল রাতে ছাতক পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে হেফাজতে ইসলামের অনুসারীরা। এক পর্যায়ে পৌর শহরের দোকানপাট ও থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। হামলায় থানা ভবনের সেবা চত্বরের গোলঘর ও অন্তত চারটি দোকানঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইট-পাথরের আঘাতে ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২৬ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১০৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। হামলায় জড়িত সন্দেহে রাতেই ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এস আই আনোয়ার মিয়া, এস আই সামছুল আরেফিন, কনস্টেবল রাকিব উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম, দিলশাদ মিয়া, রবিউল আলম ও সুবল দাস। আহত পুলিশ সদস্যরা ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।
ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘রাতে অতর্কিত কয়েক শ লোক থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে দুজন অফিসার ও পাঁচজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৬ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১০৮টি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামলায় থানার গোলঘর ও শহরের চারটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
/আরআর/