মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির বিরুদ্ধে ঔপনিবেশিক যুগের আনুষ্ঠানিক গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটাই তার বিরুদ্ধে করা সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ। সুচির আইনজীবী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই নতুন অভিযোগটি ১৪ বছর পর্যন্ত সাজার কারণ হতে পারে।
এর একদিন আগেই পূর্ববর্তী অভিযোগ মোকাবিলা করতে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আদালতে হাজির হন সু চি। উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার সময় সু চিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেনাবাহিনীর অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছরের সাধারণ নির্বাচনটি প্রতারণামূলক ছিল যেখানে সু চির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ব্যাপক ব্যবধানে জয়লাভ করে। তবে তাদের এই দাবির কোনো প্রমাণ নেই।
সু চির প্রধান আইনজীবী খিন মাওং জাও বলেছেন, সু চি এবং তার মন্ত্রিপরিষদের তিনজন মন্ত্রীর পাশাপাশি, আটক থাকা অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা শন টার্নেলকে আনুষ্ঠানিক গোপনীয়তা আইনের আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি জানান, এক সপ্তাহ আগে ইয়াঙ্গুনের একটি আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু তিনি মাত্র দুই দিন আগে বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
৭৫ বছর বয়সী এই ক্ষমতাচ্যুত নেতা ইতোমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ মোকাবিলা করছেন। সামরিক বাহিনী অভিযোগ করেছে, তিনি ৬ লাখ ডলার (৪ লাখ ৩০ হাজার ইউরো) এবং ১১ কেজি স্বর্ণ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইন লঙ্ঘন এবং অবৈধ ওয়াকিটকি নিজের অধিকারে রাখার অভিযোগও রয়েছে।
এর মধ্যে কয়েকটি অভিযোগের প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হন সু চি। তার একজন আইনজীবী মিন মিন সোয়ে বলেছেন, তিনি সুস্থ আছেন বলেই মনে হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
/এফসি/ওআর/