সাবেক বাণিজ্য বিষয়ক আইন রক্ষাকারী কর্মকর্তা ক্যাথরিন তাই হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি। তিনি বলেন, টিপিপি স্বাক্ষর করার সময় পৃথিবীর বাণিজ্য রুপরেখা অন্যরকম হয়ে গেছে। চীনের প্রভাব কমানোর ব্যাপারেও অঙ্গীকার করেন তিনি।
তাইওয়ানিজ আমেরিকান এই অ্যাটর্নি বলেন, চীন একইসঙ্গে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বি ও বাণিজ্যিক সহযোগী। বৈশ্বিক কোনও সংকট মোকাবিলায় তাদের সহায়তাও আমাদের প্রয়োজন হয়। বৃহস্পতিবার সিনেট অর্থ কমিটির সামনে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জানতে হবে যে কিভাবে একইসঙ্গে হাঁটতে, চুইং গাম চাবাতে এবং দাবা খেলতে হয়।
এশিয়া প্রশান্ত অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য চুক্তির বাইরে থাকা অবস্থাতেই শীর্ষ বাণিজ্য পদে আসীন হতে যাচ্ছেন ক্যাথরিন।
রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভা ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) এর সদস্য চীন। এই চুক্তির সদস্যদের হাতে বিশ্বের ৩০ শতাংশ অর্থনীতি রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিপিটিপিপি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনেন। বাইডেনও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন কোনও নতুন উন্মুক্ত চুক্তিতে যাবে না।
তবে মার্কিন কয়েকজন আইনপ্রণেতা চান, নতুন বাণিজ্য প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রকে যেন আবার এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করে। সিনেটর মাইক ক্র্যাপে বলেন, শুধু আমাদের মিত্ররাই এগিয়ে যাচ্ছে না। প্রতিদ্বন্দ্বিরাও এগোচ্ছে।
শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্র টিপিপিতে ফিরবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ক্যাথরিন বলেন, টিপিপির মূল্য লক্ষ্য হলো চীনের চ্যালেঞ্জকে মাথায় রেখে সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করা। কিন্তু গত ৫-৬ বছরে পৃথিবী অনেক পাল্টে গেছে। আমাদের অনেক নীতিই পাল্টাতে হবে।
টিপিপিকে কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষতিকারক উল্লেখ করে দায়িত্ব নেয়ার প্রথম সপ্তাহেই ট্রাম্প টিপিপি থেকে বেরিয়ে যায় ট্রাম্প প্রশাসন। বাইডেন প্রশাসনও এখনও যোগ দেয়ার কোনও আভাস দেয়নি।
ক্যাথরিন বলেন, আমি জানি এই মুহূর্তে চীনকে টেক্কা দিতে আমাদের কি কি অস্ত্র আছে। মার্কিন মিত্রদের নিয়ে েএকটি ঐক্যবদ্ধ জোট গঠনের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট এর প্রস্তাবের সঙ্গেও আমি একমত।
সূত্র: নিক্কেই এশিয়া
/এমএইচ/