ভারতের সঙ্গে বিবাদপূর্ণ সম্পর্ক চলমান থাকা সত্ত্বেও দেশটির শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সহযোগী হিসেবে তার অবস্থান ফিরে পেয়েছে চীন।
গত বছর, দুই দেশ সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর প্রায় ২২০ টি চীনা প্রযুক্তি অ্যাপকে নিষিদ্ধ করেছিল ভারত।
তারপরেও, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য সহযোগী হিসেবে শীর্ষে রয়েছে চীন।
গত বছর, দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক ও কৌশলগত এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৭.৭ বিলিয়ন ডলার (৫৫.২ বিলিয়ন ইউরো)।
দিল্লির বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের তথ্য অনুসারে, যদিও এই সংখ্যাটি গত বছরের ৮৫.৫ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় কম, তবুও চীনকে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক সহযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তা যথেষ্ট ছিল।
বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য রোধ করে আরো স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করলেও, ভারত এখনো চীনের তৈরি ভারী যন্ত্রপাতি, টেলিকম সরঞ্জাম ও গৃহ সরঞ্জামের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে।
চীন থেকে মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৫৮.৭ বিলিয়ন ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছ থেকে ভারতের সম্মিলিত ক্রয়ের চেয়েও বেশি। যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতের ২য় ও ৩য় বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী।
সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ অমিতেন্দু পালিত বলেন, "চীনা আমদানির উপর অবিচ্ছিন্ন নির্ভরতার কারণ হলো ঘরে এসব পণ্যের প্রাপ্যতার অভাব।"
তিনি আরো যোগ করেন, "চীন থেকে আমদানি করা সস্তা এবং তা দ্রুততার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। অন্যান্য কয়েকটি উত্স থেকে আমদানি চীনের মতো এতটা সাশ্রয়ী হয় না এবং সহজেও পাওয়া যায় না।"
সূত্র: বিবিসি
/এফসি/