স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগে দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের পূর্বপারগাঁও গ্রামের সুমনকে হত্যা করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার রায়েরবাজারে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন শফিকুল ইসলাম (৪৯)।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই গ্রামে আত্রাই নদীর পাশে সুমনকে হত্যা করা হয়। সেখান থেকে পালিয়ে এসে রায়েরবাজারের লিটনের রিকশার গ্যারেজে লুকিয়ে ছিলেন সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি শফিকুল।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। অন্য আসামিদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-২ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, শফিকুল ইসলাম দুই বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রী সাজেদা খাতুন ও দ্বিতীয় স্ত্রী মিনা ইয়াছমিন বিথী।দ্বিতীয় স্ত্রী মিনার সঙ্গে সুমনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি শফিকুল জানতে পেরে ওই দিন আত্রাই নদীর পাশে নিয়ে সুমনকে গাঁজা ও চোলাইমদ খাইয়ে বেহুশ করে ফেলেন। পরে গলায় মাফলার পেচিয়ে হত্যা করেন।
/এনএএইচ/এআর/