সরকারি নিয়মে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের পুকুর খনন নিষিদ্ধ থাকলেও খোদ সরকারি অফিসের পুকুর পুনর্খনন চলছে অবৈধ ড্রেজারের সাহায্যে। উত্তোলিত বালু দিয়ে আবার পাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন নিচু জমিগুলো ভরাট করে টাকা নিচ্ছেন ড্রেজারের মালিক। ঘটনাস্থল ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়ন ভূমি অফিস (ক)।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুষ্ক মৌসুমে পানি না থাকার অজুহাতে পুকুরটিতে দুই সপ্তাহ ধরে ড্রেজার দিয়ে পুনর্খনন চলছে। পুকুর থেকে উত্তোলিত বালু নিজের ইচ্ছেমতো বিক্রির শর্তে খনন করছেন ড্রেজারের মালিক আকরাম হোসেন। শর্ত অনুসারে ওই বালু দিয়ে প্রতি ফুট চার টাকা দরে পাশের নিচু জমিগুলো ভরাট করছেন তিনি। অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের কারণে যেকোনো সময় প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা স্থানীয়দের।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পুকুরটির ১৫/২০ গজ দূরে সাতৈর ইউনিয়ন ক ও খ ভূমি অফিসের কার্যালয়। পুকুর থেকে উত্তোলিত বালু দিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী সুভাষ সাহার বাড়ির পেছনের ফলদ বাগানের একটি নিম্নাঞ্চল ৩৫ হাজার ফুট বালু দিয়ে সাত দিনে ভরাট করা হয়েছে। এখন বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে পাশের গণেশ সাহার নিচু এলাকা।
ড্রেজার মালিক আকরাম হোসেন বলেন, ‘উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমাকে পুকুর খননের দায়িত্ব দিয়েছেন। এজন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিস আমাকে কোনো টাকা দেবে না, আমি বালু বিক্রি করে যা আয় করতে পারি। তাই প্রতি ফুট বালু চার টাকা দরে বিক্রি করছি।’
সাতৈর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ক) শেখ ফরিদ বলেন, গত ১৫ বছর ধরে শুকনো মৌসুমে পুকুরটি শুকিয়ে যায়। তাই খনন করা হচ্ছে। তবে পুকুর খননে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশনা বা কোনো বরাদ্দ আসেনি বলে স্বীকার করেন তিনি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারিয়া হক বলেন, ‘পুকুরটি পতিত পড়ে আছে। কোনো রাজস্ব আয় করতে পারছি না। তাই খননের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
মাটি বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্নজনের জায়গা ভরাট করার কথা নয়। আমাদের ভূমি অফিসের নিচু এলাকা ভরাট করার কথা।’
/এআর/