বাগেরহাটের শরণখোলায় উদ্ধার হওয়া সেই অজ্ঞাত পরিচয়ে নারীর লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, লাশটি ময়নাতদন্তেরর জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পরে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত. নজীর আহম্মেদের স্ত্রী লাকী বেগম। এ ঘটনায় রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাট জেলা অতিরিক্ত এসপি মীর সাফিন মাহমুদের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই ও শরনখোলা থানা পুলিশ নিহত লাকীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়দের কথা বলে তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করেন।
ময়নাতদন্ত শেষে লাকীর মৃতদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন খান বলেন, লাকী বেগমের প্রথম স্বামী নজীর আহম্মেদ কয়েক বছর আগে সুন্দরবনের দস্যুদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গু হয়ে যান। পরবর্তীতে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালাতেন। তাই বছর খানেক পূর্বে লাকী বেগম উপজেলার ছোট নলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. বাদশা সরদারের ছেলে ভ্যানচালক আ. ছালাম সরদাকে বিয়ে করেন। নিহত লাকী পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত গ্রাম পুলিশ আ. সামাদ হাওলাদারের মেয়ে ও রাজাপুর বাজারের বাসিন্দা মো. মহিদুল ইসলামের ছোট বোন।
লাকী বেগমের মেঝ মেয়ে তায়েবা (১০) বলে, ‘১৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মায়ের কাছে একটি ফোন আসলে সে সালাম মামার বাড়িতে যায়। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ ও কোথাও খুঁজে পাই নাই।’
শরণখোলার ওসি মো. সাইদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। শীঘ্রই অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
/আরআর/