প্রশংসা ও শ্রদ্ধায় ভাসছে ভারত সীমান্তে প্রাণ হারানো চীনা সেনারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চীনা তরুণরা তাদের সম্মান জানিয়ে লাখ লাখ পোস্ট করছেন। একজন তরুণ বলেন, ‘আমি আসলে জানি না কতটা শক্তিশালী সেনা হলে আমার মতো জনগণের জন্য জীবন দিতে পারে। আমি সকালে উঠে যখন মৃত্যুর খবর শুনলাম, আমি বুঝতে পারছিলাম আমাদের মতো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়েই প্রাণ গেছে তাদের।’
এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘#দে ডাইড ফর মি’ হ্যাশট্যাগটি তুমুল জনপ্রিয় হয়। এই ট্যাগ ১০০ কোটির বেশিবার ব্যবহার করা হয়েছে।
এটি ছাড়া উইবোতে আরেকটি হ্যাশট্যাগ ভাইরাল হয়েছে ‘সত্যিকারের ভালোবাসা, শুধু দেশের জন্য’। সীমান্ত সংঘাতে প্রাণ হারানো এক সেনার ডায়েরি থেকে এই বাক্যটি নেয়া হয়েছে।
পার্টি যখনই চাইবে, তখনই সেনাকে থাকতে হবে: চেন হংজুন
সত্যিকারের ভালোবাসা, শুধু দেশের জন্য: শেন জিয়াংরং
আমরা জন্মভূমির সীমানায় রয়েছি। আমাদের পায়ের নিচে থাকা প্রতি ইঞ্চি মাটি আমাদের জন্মভূমির: শিয়াও শুইয়ান
মা ও বাবা, আমি দুঃখিত। হয়তো আমি সামনে তোমাদের কষ্টের দিনগুলোতে সঙ্গে থাকতে পারব না। তবে যদি পরকাল থাকে, আমি আশা করি, আবার আমি তোমাদের সন্তান হব এবং তোমাদের ভালোবাসার ঋণ শোধ করব: ওয়াং ঝুরান
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চীনা সেনারা যখন চেন-এর বাড়িতে যায়, তখন তারা তার মাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে তিনি কোনো কিছু নিয়ে কষ্টে আছেন কি না। জবাবে তার মা জানান, ‘আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি শুধু জানতে চাই আমার ছেলে দেশের জন্য সাহসের সঙ্গে লড়াই করছে কি না।’
উইবোর এক ব্যবহারকারী বলেন, ‘চেন তার দেশ ও সহকর্মীদের রক্ষায় প্রাণ দিয়েছেন। তিনি তো সত্যিই সাহসী। চার সেনার এই আত্মত্যাগ চীনা তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার হয়ে থাকবে।
অনেক নেটিজেন বলেন, এ খবর শোনার পর তারা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। কিছুই বলতে পারছিলেন না। একজন বলেন, ‘আমি এখন বুঝতে পারি যে কীভাবে আমি এত শান্তিতে আছি। কারণ এই শান্তির জন্য অন্য কারো ত্যাগ রয়েছে। আমি আশা করি, সেনারা নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসবেন।’
সূত্র: গ্লোবাল টাইমস
/এমএইচ/