মাত্র একটি মিনিট। ম্যাচের সংযুক্তি সময়ের তৃতীয় মিনিটটা কাটিয়ে দিতে পারলেই একটি জয় আসে। সংগ্রহে জমে তিনটি পয়েন্ট। শিরোপা পুনরুদ্ধারের আশাটা আরেকটু ঔজ্জ্বল্য পায়। কিন্তু ওই একটি মিনিটই নিজেদের পোস্ট অক্ষত রাখতে পারল না আবাহনী। তাদের পোস্টে বল ঠেলে ম্যাচটি ১-১ ড্র করে ফেলল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র।
একটি মিনিট, একটি গোল, কিন্তু এটি ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর জন্য হয়ে যেতে পারে পুরো লিগের দুঃখ। এমনটা হতেই পারে যে লিগ শেষে দেখা গেল চ্যাম্পিয়ন দলটির চেয়ে তাদের ব্যবধান মাত্র দুটি পয়েন্টের, যা আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তারা হারাল ড্র করে।
আবাহনীর ব্যর্থতা ম্যাচের ২৫ মিনিটে পাওয়া গোলের সঙ্গে আর কোনো গোল যোগ করতে না পারা। আবাহনীর ব্যর্থতা, তাজিক ডিফেন্ডার সিওভুশ আশরোরভকে ঠিকঠাক মার্ক করতে পারেনি তাদের ডিফেন্ডাররা। এটি মুহূর্তের জন্য খেলা থেকে মনোযোগ হারিয়ে ফেলার মূল্য।
লিগে প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন সাদউদ্দিন। রাইটব্যাক বা রাইট উইঙ্গার হিসেবে সমান দক্ষতায় খেলতে পারা সাদ আসলে ক্রস ফেলতে চেয়েছিলেন, সেটিই রাসেলের গোলকিপার আশরাফুল রানার মাথার ওপর দিয়ে জড়িয়ে যায় জালে। এই গোলের পর আবাহনীর আরেকটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন সোহেল রানা, বেলফোর্টের ক্রস লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি।
একটি গোল কখনোই জয়ের নিশ্চয়তা দেয় না। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে এগিয়ে ছিল শেখ রাসেলই। ৪৭ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ওবি মোনেকের শট ক্রসবারে লেগে ফেরে। ঘণ্টা খানেকের পর আবদুল্লাহর ভলি থেকে গোল বাঁচান গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেল। কিন্তু ম্যাচের যোগ হওয়া সময়ে আর বাঁচাতে পারেননি এবারের লিগে দুর্দান্ত খেলা এই গোলকিপার। খালেকুজ্জামানের ফ্রি-কিক আশরোরভের হেডে জালে জড়িয়ে যাওয়া তো নয়, যেন বুকের মধ্যে পেরেক গেঁথে দেয় আবাহনীর।
১০ ম্যাচে এটি আবাহনীর চতুর্থ ড্র, ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে তারা। সমান ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে বসুন্ধরা এগিয়ে গেছে ৬ পয়েন্টে। এই ব্যবধান ঘোচানো সহজ হবে না দ্বিতীয় পর্বে। ৯ ম্যাচে ৫ জয়ের পাশে দুটি করে পরাজয় ও ড্র ১৭ পয়েন্ট পাওয়া শেখ রাসেলকে রেখেছে চতুর্থ স্থানে।