নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গোলাগুলির প্রতিবাদে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই, বসুরহাট পৌর মেয়র কাদের মির্জার আহ্বানে হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হরতালের সমর্থনে কাদের মির্জা সমর্থিত নেতাকর্মীরা বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্বর থেকে জমায়েত হয়ে মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। কাদের মির্জার সমর্থকদের দাবি, সকালের দিকে পুলিশ তাদের ওপর মারমুখী আচরণ করে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে তাদের ১২জন নেতাকর্মী আহত হন। কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
আহতরা হলেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ছারওয়ার, বসুরহাট পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রাজীব, পিচ্ছি মাসুদ, পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা আরজু প্রমুখ।
অপরদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জে র্যাব, ডিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, সকালে কাদের মির্জা থানার ওসি ও পরিদর্শককে (তদন্ত) থানা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে থানায় আসেন। পুলিশের মুখের ওপর হাত নিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলেন। কাদের মির্জা পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে গায়ে পড়ে মারমুখী আচরণ করে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে পুলিশ হট্টগোল সৃষ্টিকারী তার সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
আরো পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জা-বাদল সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০