শরণখোলা উপজেলা পরিষদের সামনে খালের ব্রিজটি বিধ্বস্ত হওয়ার পাঁচ বছরেও পুনর্নির্মিত হয়নি। ফলে উপজেলা পরিষদে দাপ্তরিক কাজে আসা মানুষ, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের সামনে রায়েন্দা (সদর) ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত খালের উপর নির্মিত লোহার স্লিপার ব্রিজটি ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট সকালে হঠাৎ বিধ্বস্ত হয়। কেউ হতাহত না হলেও এ ঘটনায় এলাকার মানুষ বিপাকে পড়েন।
খালটির এক প্রান্তে উপজেলা পরিষদ এবং অন্য প্রান্তে উপজেলা পশু সম্পদ অফিস, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা ও একটি এতিমখানাসহ রয়েছে জনবসতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রায়েন্দা ইউনিয়নের খাদা, মালিয়া, দক্ষিণ রাজাপুর, উত্তর রাজাপুর, রসুলপুর, ভোলারপাড়, সোনাতলা, উত্তর তাফালবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষদের উপজেলা পরিষদে দাপ্তরিক কাজে আসতে এ ব্রিজটি পার হতে হয়। পাশাপাশি, ব্রিজটির অন্য প্রান্তে স্থাপিত স্কুল মাদ্রসার ছাত্র-ছাত্রীরা ব্রিজ পারাপার হয়ে ক্লাশ করে থাকে।
খোন্তাকাটা ইউপি সদস্য আহমদ উল্লাহ সানি জানান, ব্রিজটি বিধস্ত হওয়ায় পর থেকে ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী দুর্ভোগে মধ্যে পড়েছেন।
খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন ও রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন জনস্বার্থ বিবেচনা করে অতি দ্রুত ওই স্থানে লোহার ব্রিজের পরিবর্তে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
শরণখোলা উপজেলা প্রকৌশলী খালিদ হোসেন জানান, ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য ইউনিয়ন অবকাঠামো উন্নয়ন (খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ডিপিপিভুক্ত রয়েছে। ব্রিজটি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ফাইল এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে অনুমোদন পেলেই ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে
/এবি/