হুয়াওয়ে কোম্পানি এ বছর তাদের গ্রাহকদেরকে জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের স্মার্টফোন সরঞ্জামাদির সরবরাহ ৬০ শতাংশ কমে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অনুমোদন নিয়ে ঝামেলার কারণেই এমনটা হবে বলে জানা গেছে। হুয়াওয়ে কোম্পানি গতবছর ১৮ কোটি ৯০ লাখ স্মার্টফোন বাজারজাত করেছিল, সে তুলনায় এ বছর তারা মাত্র ৭ থেকে ৮ কোটি বাজারজাত করছে।
আমেরিকায় 'ফাইভ জি' মডেলের স্মার্টফোনের সরঞ্জামাদির অনুমোদন না থাকায় হুয়াওয়ে কোম্পানি এ বছর কেবলমাত্র 'ফোর জি' মডেলের স্মার্টফোন বানাচ্ছে। তাদের কয়েকজন সরবরাহকারীর মতে, তাদের এই প্রোডাকশন সংখ্যা ৫ কোটিতেও নেমে আসতে পারে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিসি'র সূত্রমতে, চীনের এই টেক জায়ান্ট গতবছর স্মার্টফোনের বিশ্ব বাজারে স্যামসাং এবং এ্যাপলের পরে তৃতীয় স্থানে ছিল। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কারণে এ বছর তারা আরো বাইরে ছিটকে পড়ার কথা। হুয়াওয়ে কোম্পানি অবশ্য এ ব্যাপারে কোন মতামত দিতেই নারাজ!
হুয়াওয়ে গত নভেম্বরে বিশ্ববাজারে তাদের এই ক্ষতি পোষানোর জন্য প্রায় ৩০টি চীনা প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের শেয়ার বিক্রি করেছে। হুয়াওয়ে থেকে এ ব্যাপারে বলা হয়, 'এই শেয়ার বিক্রির ঘটনায় ইন্টেল, মিডিয়াটেক, মাইক্রনটেকনোলজি সহ অন্যান্য সহকারী কোম্পানিগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্ক আরো ভালো হয়েছে। আমরা গতমাসেই চীনে আমাদের ভি-ফরটি মডেলের 'ফাইভ জি' স্মার্টফোনটি রিলিজ দিয়েছি'।
হুয়াওয়ে কোম্পানি তাদের স্মার্টফোনের পুরো ব্যবসাটি বিক্রি করে দিচ্ছে - এমন উড়ো খবরের জবাবে কোম্পানির সিইও রেন জেংফেই সাংবাদিকদের জানান, তিনি এমন পথ কখনোই বেছে নেবেন না।
গতমাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের পর একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল যে আমেরিকা চীনের সাথে একটা ব্যবসায়িক যোগসূত্রে আসতে চাইবে। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে মনে হচ্ছে, নতুন প্রেসিডেন্টও ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধনীতিই অবলম্বন করার কথা ভাবছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো এমাসের শুরুতে বলেছেন যে, তিনি কোনোভাবেই তাদের ব্ল্যাকলিস্টে থাকা কোম্পানিগুলোকে ছাড়পত্র দেওয়ার যৌক্তিকতা দেখেন না, কারণ এদের বেশিরভাগই ন্যাশনাল সিকিউরিটির কারণে, অথবা পররাষ্ট্রনীতির মারপ্যাঁচে পড়ে ব্ল্যাকলিস্টেড হয়েছে।
সূত্র: নিক্কেই-এশিয়া
/এইচএস/এমএইচ/