নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাজে ডুমুরিয়া দুই নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারতলা ভবন নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার ছয় মাসেও শুরু হয়নি।
ফলে ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া এক কোটি ১৮ লাখ টাকা ফেরত যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। জমি সংক্রান্ত জঠিলতা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় ভবন নির্মাণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকমহল।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারনে ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় চারতলা বিশিষ্ট ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে একতলা ভবন নির্মাণে এক কোটি ১৮ লাখ পাঁচ হাজার ২৯৮ টাকা বরাদ্দ দিয়ে দরপত্র আহবান করা হয়। ভবন নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা পশ্চিম রামপুরার মেসার্স সুনাম এন্টারপ্রাইজ। উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভবন নির্মাণে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কিন্তু বিদ্যালয়টির জমি জঠিলতার কারনে কার্যাদেশ দেয়ার ছয় মাসেও কাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়টির শিক্ষক সংখ্যা পাঁচ জন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪০ জন। বিদ্যালয়ের নামে ৮৬ শতক জমি রেকর্ড থাকলেও বর্তমানে দখলে রয়েছে ৩৫ শতক জমি। অবশিষ্ট জমি এলাকার প্রভাবশালী ও দাতা সদস্য আছির আলীর ছেলে আব্দুল গফুরের দখলে নিয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিদ্যালয়ের জমি জায়গা সংক্রান্ত জঠিলতার কারনে ভবন নির্মাণ কাজে বিঘ্ন ঘটছে। বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চলছে।
ঠিকাদার নাজমুল হোসেন বলেন, আমি কার্যাদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ সামগ্রী বিদ্যালয় মাঠে ফেলে রেখেছি। কিন্তু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির অবহেলা ও প্রভাবশালীদের বাধায় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারছি না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফা বেগম বলেন, জমি সংক্রান্ত জঠিলতায় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি সমাধান করে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
/আরআর/