ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এম জে আকবরের দায়ের করা ফৌজদারি মানহানি মামলায় দিল্লি আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। রায়ের পর স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মি টু আন্দোলনের উপর রায়ের প্রভাব সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রামানি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এই যুদ্ধটি নারীদের যুদ্ধ, আমার যুদ্ধ নয়। আমি কেবল সে সমস্ত নারীদের প্রতিনিধিত্ব করছি যারা মুখ খুলেছেন। আমি মনে করি এটি খুবই উপযুক্ত রায়। আমার বিজয় অবশ্যই আরো নারীদেরকে মুখ খুলতে উত্সাহিত করবে, এবং আদালতের কাছে যাওয়ার আগে এটি শক্তিশালী পুরুষদেরকেও দুই বার ভাবতে বাধ্য করবে। ভুলে যাবেন না যে আমি এই মামলায় অভিযুক্ত ছিলাম। আমাকে শুধুমাত্র কথা বলার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল।’
রামানির আইনজীবী রেবেকা জন বলেন, এটি তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলা ছিল। তিনি বলেন, ‘আপনি যখন শক্তিশালী লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন এবং সত্য আপনার পক্ষে থাকে, তখন যাত্রাটি আপনার কাছে ব্যক্তিগতভাবে খুবই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে।’
রামানিকে খালাস দেওয়ার সময় দিল্লি আদালত পর্যবেক্ষণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘সামাজিক মর্যাদাপূর্ণ একজন মানুষও যৌন হয়রানির মতো কাজ করতে পারে। যৌন নির্যাতন মর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস হরণ করে।’ আরো বলা হয়েছে, ‘মর্যাদার অধিকারের বিনিময়ে খ্যাতির অধিকারকে রক্ষা করা যায় না।’
২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর রামানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন এম জে আকবর। তিনি অভিযোগ করেন, কয়েক দশক আগে তিনি যখন সাংবাদিকতা করতেন, তখন তিনি যৌন হয়রানি করেছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের একটি প্রতিবেদনে এবং ২০১৮ সালের একটি টুইটে রামানি অভিযোগ করেন, ১৯৯৪ সালে একটি সাক্ষাত্কারের সময় আকবর তাকে যৌন হয়রানি করেছিলেন।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
/এফসি/