‘সম্মিলিত প্রচেষ্টা- সবার জন্য পুষ্টি, খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবুন’ এই প্রতিপ্রাদ্য কে সামনে রেখে বহুখাতভিত্তিক বার্ষিক পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা ২০১৯-২০ সুনামগঞ্জ এর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ এবং কালেক্টিভ ইম্প্যাক্ট ফর নিউট্রিশন ইনিশিয়েটিভ এর সমাপনী কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির উদ্যাগে দিনব্যাপী জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলা বার্ষিক পুষ্টি কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন ডা.মোঃ শামস উদ্দিন, কালেক্টিভ ইম্প্যাক্ট ফর নিউট্রিশন ইনিশিয়েটিভ এর কার্যক্রমের উপর উপস্থাপন করেন কালেক্টিভ ইম্প্যাক্ট ফর নিউট্রিশন ইনিশিয়েটিভ কেয়ার বাংলাদেশ টেকনিক্যাল ম্যানেজার মোঃ হাসানউজ্জামান।
বহুখাতভিত্তিক পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়নে সুনামগঞ্জ জেলা মডেলের বিস্তার ও পরর্বতী করণীয় বিষয়ক উপস্থাপন করেন কেয়ার বাংলাদেশ এক্টিং টিম লিডার মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম।
বহুখাতভিত্তিক পুষ্টি কর্মপরিকল্পনার উপস্থাপনা শেষে পুষ্টি কার্যক্রমের উপর একটি ভিডিও চিত্র প্রর্দশনী করা হয়।
চিত্র প্রদর্শন শেষে জেলা বার্ষিক পুষ্টি কর্ম- পরিকল্পনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
জেলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান।
ইভ্যালুয়েশন এন্ড ডকুমেন্টেশন মনিটরিং সিআইফরএন টেকনিক্যাল অফিসার শ্রী অরুপ রতন দাসের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন কেয়ার বাংলাদেশ পরিচালক ডা.ইখতিয়ার উদ্দিন খন্দকার, এনএনএস ও ডাইরেক্টর আইপিএইচএন(ভারপ্রাপ্ত) লাইন ডাইরেক্টর ডা.এস এম মোস্তাফিজুর রহমান
আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, বহুখাতভিত্তিক বার্ষিক পুষ্টি নিয়ে কর্মপরিকল্পনা আমাদের সবার জন্য প্রয়োজন। আমাদের দেশের উন্নয়নের হলেও দেশের মানুষের পুষ্টির উন্নয়ন হচ্ছে না। একটা শিশুর পুষ্টির উন্নয়ন করতে হলে ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারসহ অন্যান্য খাবার থেকে দূরে রাখতে হব। আমাদের পুষ্টির অভাবের জন্য নিজেরা কিছুটা দায়ী।
আমাদের দেশে কৃষির অনেক উন্নয়ন হচ্ছে শাকসবজি ব্যাপকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সন্তানদের আমরা পুষ্টি জাতীয় খাবার না দিয়ে অপুষ্টি জাতীয় খাবারের দিকে এগিয়ে দিচ্ছি। দেশের জনগণের পুষ্টির অভাব পূরণ করতে হলে সবাইকে পুষ্টি নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সুষম খাদ্যের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। যেসব খাদ্য শরীরে পুষ্টি যোগান দেয় সে সম্পর্কে সকলকে পরামর্শ দিতে হবে ।
এর আগে বহুখাতভিত্তিক পুষ্টি কর্মপরিকল্পনার উপস্থাপনা শেষে পুষ্টি কার্যক্রমের উপর একটি ভিডিও চিত্র প্রর্দশনী করা হয়। চিত্র প্রদর্শন শেষে জেলা বার্ষিক পুষ্টি কর্মপরিকল্পনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
/এবি/