কোম্পানীগঞ্জ থানার মূল ফটকের সামনে থেকে অবস্থান ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি এই অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ।
এর আগে, নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি এবং ওসি তদন্তকে প্রত্যাহার এবং উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফখরুল ইসলাম সবুজকে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কোম্পানিগঞ্জ থানার সামনে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।
অবস্থান ধর্মঘটে কাদের মির্জা বলেন, আমাদের দাবি মানা না হলে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জে হরতাল এবং শুক্রবার থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অবস্থান ধর্মঘট সমাপ্তির আগে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। একই সঙ্গে বসুরহাট বাজারের পূর্বের ঘোষিত বুধবারের হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ টেকেরবাজারে তার কিছু অনুসারীদের নিয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। খবর পেয়ে ফখরুল ইসলাম সবুজকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ছেড়ে দেয়ার খবর পেয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে কাদের মির্জা নিজেই থানার ফটক অবরোধ করে অবস্থান নেন এবং পৌর এলাকায় হরতালের ঘোষণা দেন।
কর্মসূচি সফল করতে নেতা-কর্মীরা বসুরহাট-বাংলাবাজার সড়কের থানার দুই পাশে বাস-ট্রাক দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এছাড়াও বসুরহাট বাজারের সকল প্রবেশ পথ অবরোধ করে রাখে দলীয় নেতা-কর্মীরা। এর ফলে কোম্পানীগঞ্জের যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্নসহ বসুরহাট বাজারে অচল অবস্থা বিরাজ করে।
/আরআর/