যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী বুধবার (২০ জানুয়ারি) দায়িত্ব নেবেন। বাইডেন প্রশাসনের আমলে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমেরিকা এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক শক্তি থেকে আরো শক্তিতে বৃদ্ধি পাবে। এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে কোনো বড় পরিবর্তন দেখছি না।’ তিনি ইউএনবিকে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
নতুন প্রশাসনের নীতি কী হবে, তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, নতুন মন্ত্রিপরিষদের বিভিন্ন পদে যারা আসছেন, তাদের অনেকেই তার কাছে সুপরিচিত। অনেকেরই ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রকৃত মনোযোগ রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সাবেক এক কর্মকর্তা। তিনি ছিলেন ইউএস মেরিন কর্পস অফিসার। বাইডেন ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিকে (আইপিএস) এগিয়ে নেবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মেরিন কর্পস অফিসারের দায়িত্ব পালন করা এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি সেটাই মনে করি। এটাকে কীভাবে রিব্র্যান্ড করা যায়, সেদিকেই যুক্তরাষ্ট্রের নজর থাকবে। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ খুব শক্তিশালী হতে থাকবে।’
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়েছেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ভিয়েতনামে গিয়ে উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি রূপরেখা প্রকাশ করেছিলেন। যাতে সব দেশ সার্বভৌম, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পাশাপাশি উন্নত হয়।
মিলার বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণভাবে এবং স্বেচ্ছায় স্বদেশে ফিরে আসতে পারে, সে জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
১৯ জানুয়ারি ঢাকায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করবে। ত্রিপক্ষীয় এই প্রক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যেকোনো দেশ এই সংকট সমাধানে সহায়তা করতে পারে এবং এটি কার্যকর। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর চাপ থাকতে হবে। এই বিশাল বোঝা একা কাঁধে রাখা বাংলাদেশের জন্য ঠিক হবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেক দাতা রয়েছেন, যারা পদক্ষেপ নিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ায় অন্যরাও আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে, সেটা দেখতে চাই।’ তিনি আরো বলেন, অন্যান্য দেশ, জেনেভা, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গাদের সমর্থন করার ক্ষেত্রে আরো সোচ্চার হবে, সেটা দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।’
/শাআ/