এবার নোয়াখালীর হাতিয়ায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক গৃহবধূকে (৩২) সন্তানদের সামনে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে ভাইরাল করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি নির্যাতিত নারী আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক বিবস্ত্র অবস্থায় ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে টেনেহেঁচড়ে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। অপর একজন লাঠি দিয়ে ওই নারীর ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। নির্যাতনের ভিডিও শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ঘটনাটি তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে ওই গৃহবধূর স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্টু মাঝি ও ফারুকসহ আরো কয়েকজন ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় এবং মুঠোফোনে সেই ভিডিও ধারণ করে। এ সময় ওই নারী ও তার ছেলেমেয়েদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে রাতেই তার স্বামী এসে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসা নিয়ে ৪ জানুয়ারি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেওয়ায় ৫ জানুয়ারি জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ নম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক জানান, আদালতের নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পর শনিবার তিনি নিজে ঘটনাস্থলে যান। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
/ওআর/