বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির চাওয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের ডোপ টেস্ট করার কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সড়ক পরিবহন ও মালিক সমিতি এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চালকদের ডোপ টেস্টের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। তবে এই কমিটির কোনো কার্যক্রম বা কাজের রূপরেখা তৈরি হয়নি এখনো।
কথা হলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ সারাক্ষণকে বলেন, ‘দুই মাস আগে চালকদের ডোপ টেস্টের জন্য বিআরটিএ আমাদের সঙ্গে একটি সভা করে। সেখানে আলোচনা হয়েছে কীভাবে ডোপ টেস্টের কার্যক্রম চালানো হবে। সভার পর তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। তবে কমিটির কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।’
কীভাবে এই কার্যক্রম চালানো হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সভায় আমরা বলেছিলাম টার্মিনাল ও হাইওয়ে থেকে চালকদের এই ডোপ টেস্টের কার্যক্রম চালানো যেতে পারে। সভার পর বিআরটিএ আমাদের আর কিছু জানায়নি। অন্য সবকিছু বিআরটিএ বলতে পারবে।’
বিস্তারিত জানতে কথা হয় বিআরটিএর পরিচালক (সড়ক নিরাপত্তা) শেখ মাহবুব ই রব্বানীর সঙ্গে। তিনি সারাক্ষণকে বলেন, ‘ডোপ টেস্টের চিন্তাভাবনা তো সরকারের। তারা আমাদের কাছে মতামত চেয়েছে, সেটা রেডি করছি, যা এখন শেষের পর্যায়ে।’
এই কাজের অগ্রগতি কতটুকু জানতে চাইলে শেখ মাহবুব ই রব্বানী বলেন, তিন সদস্যের একটি কমিটি করে বিআরটিএর চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি সেটা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। এরপর বাকি সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় দেবে।
কীভাবে এই ডোপ টেস্টের কার্যক্রম চালানো হবে জানতে চাইলে শেখ মাহবুব ই রব্বানী বলেন, ‘এই বিষয়গুলো নিয়ে বলার কিছু নেই। বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়েই আছে। এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি বিষয়। চাইলেই ডোপ টেস্টের মতো কাজ করা যায় না। এটা তো রাস্তাঘাটে বা সড়ক-মহাসড়কে করা যাবে না। তারপরও যদি রাস্তাঘাটে করি তাহলে সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। এটার জন্য ল্যাবরেটরি লাগবে। তবু আমরা খুব সিরিয়াসলি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। সব মহলের সঙ্গে পরামর্শ করে মতামত নিয়েই কাজটি করা হবে।’
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে চালকদের ডোপ টেস্ট অবশ্যই করা উচিত। ডোপ টেস্ট ছাড়া কোনো চালক গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসতে পারবেন না। ডোপ টেস্টে উত্তীর্ণ হলে সেই চালক একজন প্রকৃত এবং নিরাপদ গাড়িচালক হিসেবে বিবেচিত হবেন।
/এনএইচ/